কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান রিমান্ড শেষে কারাগারে

কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (ফাইল ছবি)
কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (ফাইল ছবি)

অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে মিজানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। এর আগে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাবিবুর রহমানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামি হাবিবুর রহমানের হেফাজত থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের টাকার চেক এবং তাঁর ছেলের নামে থাকা এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামি ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে কোন কোন ব্যাংকের হিসাব আছে, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আসামি তাঁর আয়ের উৎস এবং ধন-সম্পদ নিয়ে একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছেন, আসামি কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের সুনির্দিষ্ট এ বৈধ জ্ঞাত আয়ের কোনো উৎস না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তবে হাবিবুর রহমানের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেছেন, এই মামলাটি হয়রানিমূলক। কোনো অপরাধ করেননি হাবিবুর রহমান।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানার অর্থপাচার মামলায় কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আসামি হাবিবুর রহমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক ও ১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ উদ্ধার করা হয়। এই টাকার উৎস এবং ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য অসাামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

র‍্যাব সূত্র বলছে, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের সিলেটের বাসা থেকে চারটি গুলিভর্তি একটি পিস্তল ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। হাবিবুর ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ টাকা তুলেছেন, এ-সংক্রান্ত তথ্যও পেয়েছে র‍্যাব।

সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এলাকা থেকে ১১ অক্টোবর হাবিবুর রহমানকে আটক করে র‍্যাব। র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাবিবুর রহমান দেশ থেকে পালিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন। পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। আটকের পর হাবিবুর রহমানকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পরপরই মোহাম্মদপুরে তাঁকে নিয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। বাসা থেকে স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজপত্র উদ্ধারের ঘটনায় হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর মামলা করে র‍্যাব।