এটি বিএনপির ১১ বছরের পুরোনো বুলি: তথ্যমন্ত্রী

কাকরাইলে জেলা তথ্য অফিসারদের নিয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ঢাকা, ২০ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত
কাকরাইলে জেলা তথ্য অফিসারদের নিয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ঢাকা, ২০ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত

‘সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই’—এটি বিএনপির পুরোনো বুলি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই এটা বলছে। পুরোনো এই ঢোল তারা ১১ বছর ধরে বাজাচ্ছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীর কাকরাইলে নবনির্মিত তথ্য ভবন মিলনায়তনে রোববার দুপুরে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর একটি কর্মশালার আয়োজন করে। জেলা তথ্য অফিসারদের নিয়ে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পরপর তিনবার নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গাতে ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে। এ জন্য তাদের অভিনন্দন। আমরা চাই রাজপথে ও সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। তবে তারা এই সব সভা-সমাবেশ করেও জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। তারা কোনো ইস্যুও খুঁজে পাচ্ছে না। ছাত্র ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে তারা রাজনীতির মাঠে সরগরমের চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তাতে কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তারপরও তারা যে মাঠে নামার চেষ্টা করছে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।’

এ সময় এমপি রাশেদ খান মেননের ক্যাসিনো–সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আমি বিষয়টি দেখেছি। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, যারা ক্যাসিনো চালাত, তাদেরই ধরা হয়েছে। সবাই দুর্নীতিবাজ। ক্যাসিনো অবৈধ। বড় বড় রাঘববোয়ালের ধরা হয়েছে। যাঁরা অভিযোগ করছেন, বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের নামও আসছে। এটি চলমান আছে। ধীরে ধীরে দায়ী সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা তথ্য অফিসারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সরকারের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধ রচনা করা। গত ১০ বছরে প্রচার–প্রচারণার ক্যানভাসে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সময় এসেছে পুরোনো ধাঁচের প্রচার কার্যক্রম বদলে ফেলে আধুনিক যুগোপযোগী, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করার।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকলকে একাগ্রভাবে কাজ করতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে সদা প্রস্তুত।’

তথ্যসচিব আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিজের কাজকে শুধু চাকরি না ভেবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।’

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও দেশব্যাপী ৬৮টি তথ্য অফিসের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় যোগ দেন।