৩৫০০ টাকায় মরুর খাবার, আরব্য নাচ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের জাতীয় খাবার ‘মানসাফ’। এটি দেশটির ঐতিহ্যবাহী বেদুইন খাবার হিসেবে পরিচিত। ভেড়ার মাংসের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের মসলা ও জামিদ (এক প্রকারের শুকনা দই) দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবার। এরপর ভাত, পাইন বাদাম (পাইন নাটস) ও কাজুবাদাম দিয়ে পরিবেশন করা হয়। মরুর ঐতিহ্যবাহী এ খাবারের স্বাদ দিতে হোটেল লা মেরিডিয়ানে চলছে জর্ডানের খাবার উৎসব।
>জর্ডানের বৈচিত্র্যপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে চলছে বিশেষ উৎসব, সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৭ অক্টোবর থেকে হোটেলের ‘ওলেয়া’ রেস্তোরাঁয় ‘টেস্ট অব জর্ডান’ নামের এ উৎসব শুরু হয়েছে। ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে। জনপ্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে জর্ডানের খাবারের স্বাদ নেওয়ার এ আয়োজন। উৎসব উপলক্ষে রেস্তোরাঁটি সাজানো হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনুসরণে।
উৎসবে নানা পদের জর্ডানের খাবার তৈরি এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে পরিবেশন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু এই খাদ্যসম্ভারে আছে জা’তার, চিজ ও শাত্তাহর দিয়ে তৈরি লাবিনা। বিভিন্ন রকমের ঠান্ডা এবং গরম ‘মেজে’ (অ্যাপেটাইজার) হামাস, ফাউল বি জেইত, হারা সালাদ (একপ্রকারের ঝাল মসলাযুক্ত টমেটো সালাদ), মুশাখান রোল। ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি সাজায়ে হালুমি, ফুলকপি ও ডিম দিয়ে তৈরি ‘মুশাত’, শর্বা (একধরনের স্যুপ), ভেড়ার মাংসের মিটবল। ‘ফ্রাইখে গোল্ড কোয়েল’ দিয়ে তৈরি ‘স্টাফড চিকেন রোল’, মসলাযুক্ত বার্লি দিয়ে তৈরি ‘বোনলেস চিকেন’, তাহিনি সস এবং আরবের সালাদ দিয়ে তৈরি ‘সাইয়েদেহ ফিশ’, ‘মাকলুবা’ এবং ‘শিশ বারাক’ ইত্যাদি। আর খাবার শেষে মিষ্টিমুখ করার জন্য সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করা হয়। এর মধ্যে খুনাফে, মুতাবাক, হারিছা ও আরবের আইসক্রিম। আরও আছে বিশেষভাবে তৈরি জর্ডানের কোমল পানীয় লাবান আরিয়ান।
জর্ডানের সংস্কৃতিতে খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের সমাহার ও দেশটির আতিথেয়তায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ উৎসবের আয়োজন করেছে হোটেল লা মেরিডিয়ান। উৎসবে বাহারি পদের জর্ডানের খাবার তৈরি করবেন জর্ডানের শেরাটন আম্মান আল-নাবিল হোটেলের প্রধান শেফ আলী আল-ফাওয়াদলাহ।
উৎসব নিয়ে লা মেরিডিয়ান ঢাকার মহাব্যবস্থাপক কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘আরবের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে জর্ডানের খাবার উৎকৃষ্ট মানের মাংস, মসলা এবং উপাদেয় মিষ্টি দিয়ে তৈরি করা হয়। আমরা আশা করছি, পুরো উৎসবে খাবারপ্রেমীরা বৈচিত্র্যপূর্ণ জর্ডানের খাবার উপভোগ করতে পারবেন। ঢাকার মানুষের জন্য এসব ঐতিহ্যবাহী খাবার আয়োজনের পাশাপাশি শেফ আলী আল-ফাওয়াদলাহকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমরা খুশি। উৎসবে খাবারের সঙ্গে থাকছে আরবের ঐতিহ্যবাহী সুর ও নাচ।’