এখন ঠিকানা ছোটমণি নিবাস

কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি
কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ধানখেতে কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটিকে আজিমপুরের ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল রোববার পুলিশ, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া স্থানীয় নারী সুফিয়া খাতুন কিশোরগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ৬ নম্বর আদালতে হাজির হয়ে আদালতের নির্দেশনা চান। এ সময় বিচারক বেগম উবায়দা খানম শিশুটিকে রাজধানীর আজিমপুরের ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর আদেশ দেন।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিশুটিকে মা-বাবাহীন হতভাগ্য পরিত্যক্ত শিশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর সব রকমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাঁরা শিশুটির ভরণপোষণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের ছোটমণি নিবাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জন্মের পরেই ফুটফুটে শিশুকে ফেলে যায় নিষ্ঠুর স্বজনেরা। তবে স্বজনেরা ফেলে গেলেও স্থানীয় নারী সুফিয়া খাতুন পরম মমতায় শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। পরে তাড়াইল থানার পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। হাসপাতালের সবাই শিশুটিকে চোখের মণি হিসেবে পরম মমতা আর আদরযত্ন দিয়ে লালনপালন করেন।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের পর থেকেই তার প্রতি পুলিশেরও একধরনের মায়া তৈরি হয়ে যায়। তিনি নিজেও শিশুটির সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখেন। এমনকি নবজাতকটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সুফিয়া খাতুনেরও অনেক মায়া হয়ে গেছে। তিনি (সুফিয়া) হাসপাতালসহ সব জায়গায় সার্বক্ষণিক শিশুটির পাশে ছিলেন। তাই শিশুটিকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানের আদেশের পর সুফিয়া কেঁদে ফেলেন।

ইউএনও তারেক মাহমুদ জানান, সমাজের বিত্তশালী লোকসহ অনেকেই তাঁর কাছে শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেছেন। শিশুটিকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজিমপুরের ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হচ্ছে।