'তারা তো কারও ক্ষতি করেনি, প্রতিবাদ করা কি অন্যায়?'

খন্দকার মোশাররফ হোসেন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আগামী বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগরের থানায় এবং সারা দেশের জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ ঘোষণা দেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বোরহানউদ্দীনে সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশের মারমুখী আচরণ ও নিষ্ঠুরতা ক্ষমার অযোগ্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সামান্য কিছুতেই নির্বিকারে গুলি ছুড়ে মানুষ হত্যা করা এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

বিক্ষোভ করতে দিলে কি সরকারের পতন হয়ে যেত? এমন প্রশ্ন তুলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তারা তো কোনো ভাঙচুর করেনি। কারও ক্ষতি করেনি। প্রতিবাদ করা কি অন্যায়? আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ করছি, স্থানীয় প্রশাসন ভোলায় মানুষের প্রতিবাদকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার ভিন্ন চক্রান্ত চালাচ্ছে। তারা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ না করে হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বভাবসুলভ ভাষায় প্রতিবাদকারীদের প্রতি হুমকিধমকি দিচ্ছেন।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভোলার ঘটনা পূর্বকল্পিত। যে কারণে ভোলাকে রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

গতকাল রোববার ভোলার বোরহানউদ্দিনে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিচারের দাবিতে ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। নিহত চারজনকে নিজেদের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করে তৌহিদি জনতা। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।