দুদকের অনুসন্ধান তালিকায় আরেক সাংসদ

সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন
সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন

ক্যাসিনো-কাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান তালিকায় আরেক সাংসদের নাম এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। এর আগে ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ শামশুল হক চৌধুরীর নাম অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছিল দুদক।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে। অনুসন্ধান দলের সদস্যরা গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে। সংস্থার গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে এসব তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়। পাশাপাশি র‍্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানেরা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন। সেসব তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে গতকাল সোমবার দুটি মামলা করছে সংস্থাটি। আজ দুটি মামলার অনুমোদন হয়েছে।

দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, শুরুতে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হলেও তালিকা এখন অনেক বড়। এটা এখন প্রায় ১০০ জনের মতো দাঁড়িয়েছে।

যুবলীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ওই তালিকায় আছেন কি না জানতে চাইলে সূত্রটি জানিয়েছে, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই নাম এসেছে সবাই অনুসন্ধানের আওতায় আসবেন। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।