তিন পুলিশ সদস্য বরখাস্ত, পাঁচ জনকে প্রত্যাহার

Hilsha
Hilsha

তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারের সময় পুলিশ সদস্যদের আটকের ঘটনায় বরিশাল বন্দর (সাহেবের হাট) থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার একই ঘটনায় ওই থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান বরিশাল নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আকরাম হোসেন।

গত রোববার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ওই ঘটনা ঘটে। প্রত্যাহার হওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরিশাল পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আকরাম হোসেন প্রত্যাহার হওয়া ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানানো যাবে।

তবে পুলিশের অপর একটি সূত্র প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তাঁরা হলেন, বরিশাল নগরের বন্দর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) তারিকুল ইসলাম, ইরফান হোসেন ও সোহেল রানা এবং কনস্টেবল জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম।

এর আগে গতকাল একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বন্দর থানার তিন পুলিশ সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্যাহ বলেন, রোববার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযানে নামে। এ সময় তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকায় ইলিশ ধরারত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই পুলিশ সদস্য ও চার জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দুটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুটি স্পিডবোটে অভিযুক্ত অন্য পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।