ভোলার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে রং ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ধানমন্ডি, ঢাকা, ২২ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ধানমন্ডি, ঢাকা, ২২ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত

ভোলার ঘটনা নিয়ে শান্তি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রং ছড়ালে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ধানমন্ডিতে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের পরিচালনায় সভায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ, সংগঠনের উপদেষ্টা এম এ গনি, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, ফ্রান্স আওয়ামী লীগ নেতা মো. আতিকুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। তারই অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল আন্দোলনের পাঁয়তারা করছে। দেশের শান্তি বিনষ্ট করার সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না।

সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়ার কাজ চলছে। বিদেশে যাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরাও অনুপ্রবেশকারীদের সংগঠন থেকে বের করে দেবেন।

২০০৭ সালে এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করলে ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট দেশে আন্দোলন করেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর সামরিক শাসকেরা দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পাকিস্তানিরা হতাশ হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গ্রামে এখন আর কুঁড়েঘর দেখা যায় না। বাড়ি থেকে বের হয়ে কাদা-মাটির রাস্তা পাড়াতে হয় না। এটি বিএনপির ভালো লাগে না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তারা দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে, কিন্তু সেটি স্বীকার করে না। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকবার বিরোধিতা করেছে। সমালোচনা করেছে। পদ্মা সেতু ব্যবহার করবে, কিন্তু সেটি স্বীকার করবে কি না, সেটিই প্রশ্ন।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হয়। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর দৃষ্টি রাখছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ আছে।