কোন স্তরের কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দীর্ঘ নয় বছর পর ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে গণভবনে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমপিওভুক্তির এই সিদ্ধান্ত গত জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন স্কুল ও কলেজ রয়েছে ১ হাজার ৬৫১টি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ১০৮টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণি স্তরের প্রতিষ্ঠান ৮৮৭টি, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৮টি, কলেজ (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি।

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন—
স্কুল ও কলেজ
কারিগরি ও মাদ্রাসা

এ ছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অধীন মাদ্রাসা রয়েছে ৫৫৭টি। এর মধ্যে দাখিল স্তরের মাদ্রাসা ৩৫৮টি, আলিম স্তরের ১২৮টি, ফাজিল স্তরের ৪২টি ও কামিল স্তরের ২৯টি মাদ্রাসা রয়েছে।

পাশাপাশি নতুন এমপিওভুক্ত হয়েছে ৫২২টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ৬২টি, ভোকেশনাল (স্বতন্ত্র) ৪৮টি, সংযুক্ত ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ১৭৫টি এবং বিএম সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান ১০৮টি। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর এমপিওভুক্তির দাবিতে থেমে থেমে আন্দোলন করে আসছিলেন এমপিওভুক্ত নয় এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা বাতিল করে পুরোনো নিয়মে স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবারও আন্দোলনে ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে গতকাল রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠকের পর কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা। মন্ত্রীর বাসায় এই বৈঠক হয়। পরে তাঁদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান মন্ত্রী।

এর আগে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছরই যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে সেগুলো নিয়মিত তদারক করা হবে। যদি পরে শর্ত পূরণ না করে, তাহলে এমপিও স্থগিত করা হবে।