বরগুনায় কলেজছাত্রী হত্যায় বিএনপির সাবেক নেতার যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার পাথরঘাটার কলেজছাত্রী সেতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও বিএনপির সাবেক নেতা জিয়াউল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর তিন আসামি নাহিদ সুলতানা, রেজবি খান ও আবদুল্লাহ আল মামুন কাজীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া প্রধান আসামি জিয়াউল হক পাথরঘাটা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সেতু পাথরঘাটা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ২০ দিন পর তার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সেতু ৪ দশমিক ৩০ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

মামলার বাদী ও সেতুর বড় ভাই নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার পর প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতু হত্যা মামলায় আমরা কাঙ্ক্ষিত রায় পাইনি। তাই এ রায়ে আমরা হতবাক। প্রধান আসামি জিয়াউল ও তাঁর স্ত্রী নাহিদ সুলতানাসহ চার আসামির প্রত্যেকে এ হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। রায়ে শুধু প্রধান আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এতে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।’

২০১২ সালের ২৯ জুন জিয়াউল হকের বাড়ির সামনে থেকে কলেজছাত্রী সেতুর লাশ উদ্ধার করা হয়।