সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক ব্যক্তিকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে আরও তিন ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্রা গ্রামে আজ বুধবার ভোররাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান (৩৪)। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত হাবিবুরের স্ত্রী শারমিন আক্তার এবং তোফা চান ও জুনায়েদ মিয়া। তাঁদের মধ্যে শারমিন আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও তোফা চানকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুরের বাড়ি ভাট্রা গ্রামে। হাবিবুরের ঘরটি কাঁচা এবং টিনশেড দিয়ে বানানো। একটি কক্ষে হাবিবুর ও শারমিন ঘুমিয়েছিলেন। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে দুর্বৃত্তরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে। এ সময় হাবিবুরের চিৎকারে শারমিন জেগে ওঠেন। শারমিন দেখতে পান, কয়েকজন মিলে হাবিবুরকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। শারমিন জেগে উঠেছেন দেখে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও কোপানো শুরু করে। দুজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় বাইরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পাহারায় ছিল। তারা প্রতিবেশীদের মধ্যে তোফা চান ও জুনায়েদকে আক্রমণ করে। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাবিবুরের মৃত্যু হয়।

ঢাকায় নেওয়ার আগে শারমিন আক্তার স্থানীয় লোকজনকে বলেছেন, হামলাকারীদের তিনি চিনেছেন। তারা সংখ্যায় ছয় থেকে সাতজন ছিল। হামলাকারীদের মধ্যে একজনের নাম আল আমিন। তিনি নিহত হাবিবুরের চাচাতো ভাই।

মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে আল আমিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

আল আমিনের ঘনিষ্ঠদের দাবি, নানা বিষয় নিয়ে হাবিবুরের পরিবারের সঙ্গে আল আমিনের পরিবারের বিরোধ ছিল। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আল আমিনের কোনো সম্পর্ক নেই।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, খুনি শনাক্ত হয়েছে। মূলত পূর্ববিরোধের জেরে আল আমিন ও তাঁর সহযোগীরা হাবিবুর ও অন্যদের আক্রমণ করেছেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান ওসি।