শত্রুরাও বলবেন বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে: গণপূর্তমন্ত্রী

বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তন, আইডিইবি ভবন, কাকরাইল, ঢাকা, ২৩ অক্টোবর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তন, আইডিইবি ভবন, কাকরাইল, ঢাকা, ২৩ অক্টোবর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক শত্রুরাও বলবে বাংলাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। সে উন্নয়নকে নৈতিকতার জায়গায়ও ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, যে দলেরই হোন, দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। অপরাধীর দাম্ভিকতা শেখ হাসিনা চূর্ণ করে দিয়েছেন।’

আজ বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপূর্তমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করে কেউ সফল হবে না। রাজনৈতিক দূরদর্শিতাসম্পন্ন, লোভ-লালসামুক্ত অবস্থান নিয়ে থাকা সারা বিশ্বের সৎ এবং শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ দেশে কোনো লাভ হবে না। কেউ যদি ওয়ান–ইলেভেনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চান, তাঁদের দুঃস্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবে।

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে এত উন্নত জায়গায় নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি যাঁরা করেন না, তাঁরাও বিস্ময় প্রকাশ করেন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু কয়েকজন কখনো প্রেসক্লাবের সামনে, কখনো পল্টনে নানা রকম উদ্ভট কথা বলছেন। রাজনীতির অন্ধ গলিতে গিয়ে উদ্‌ভ্রান্ত হওয়া মানুষগুলো প্রলাপ বকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে না।

বাংলাদেশের উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভূমিকা উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দক্ষতা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও একাগ্রতা অত্যন্ত সময়োপযোগী। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথচলায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধা। যে যেখানে আছি, সে জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্ন, দুই লাখ মা-বোনের স্বপ্ন ধ্বংস হতে পারে না। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অনৈতিকতা—এগুলো কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। দুর্নীতিকে কোনোভাবে আমরা প্রশ্রয় দিতে চাই না। স্বচ্ছ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।’

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক শত্রুরাও বলবে বাংলাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। সে উন্নয়নকে নৈতিকতার জায়গায়ও ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান কোনো রাজনৈতিক সরকার নিতে পারে, তিনি সেটা প্রমাণ করেছেন। তিনি দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, যে দলেরই হোন, দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। অপরাধীর দাম্ভিকতা শেখ হাসিনা চূর্ণ করে দিয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ঘোষিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে।’

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাউজিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখতে হবে।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে কি–নোট পেপার উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মতিন ও বিজনেস ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম সুলতান আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।