রায়ে নুসরাতের পরিবারের সন্তোষ, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

রায় ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানান ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা মিয়া (মাঝে), ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান (ডানে) ও আইনজীবী শাহজাহান সাজু (বায়ে)। ছবি: প্রথম আলো
রায় ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানান ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা মিয়া (মাঝে), ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান (ডানে) ও আইনজীবী শাহজাহান সাজু (বায়ে)। ছবি: প্রথম আলো

প্রধান আসামিসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ফেনীর সোনাগাজীর নিহত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে রাফির পরিবার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটি শঙ্কার কথাও বললেন তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর ফেনীর আদালত প্রাঙ্গণে নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা মিয়া বলেন, রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রশাসন, আদালত, সাংবাদিকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় বহাল থাকে, সে আকুতি জানান তিনি। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি। তবে তাঁরা নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত বলে জানান। প্রশাসনের কাছে তিনি এখনকার মতো নিরাপত্তা বহাল রাখার দাবি করেন।

নুসরাত হত্যা মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, আসামিরা আদালতের ভেতরে তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি প্রশাসনের কাছে সহায়তা চান। রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়, সে জন্য এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে যেন এ রায় কার্যকর থাকে, তেমন প্রস্তুতি নেবেন তাঁরা।

আজ নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তাঁর মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা পাঁচ দুর্বৃত্ত। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়। অগ্নিসন্ত্রাসের এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান (নোমান) সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

আরও পড়ুন: