নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পুলিশকে ছাড় দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি হত্যা মামলার রায়ে পুলিশকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে তিনি এসব কথা বলেন।

নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেন, এ ঘটনায় তৎকালীন ওসি গাফিলতি করেছেন। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড আর না ঘটে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দেন আদালত।

রায়ে পুলিশকে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে প্রমাণিত হচ্ছে যে সরকার পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। তাই তারা পুলিশকে ছাড় দিয়েছে। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য এসব করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দেশের বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সিঙ্গাপুরের তাঁর চিকিৎসার কিছু ফলোআপ ছিল। সেখান থেকে তিনি তাঁর বড় মেয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়াতে যান। এরপর অস্ট্রেলিয়াতে এশিয়া প্যাসিফিক ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের একটা কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি। এ সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল দেশের বাইরে থাকা অবস্থাতেই বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বা যুবলীগ গত কয়েক বছর ধরে লাগামহীন হওয়ায় গোটা দেশে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একজন সাধারণ নাগরিক ও ছাত্র তাঁর দেশের স্বার্থ সম্পর্কে একটা মতামত দিতে পারবেন না, এটা কখনো চিন্তা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলোতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কোনো মহল থেকে এই ধরনের ঘটনাগুলোকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশ আক্রমণ করেছে, গোলাগুলি করেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সম্প্রতি এক সমাবেশে বলেছিলেন, ৩০ ডিসেম্বর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ বক্তব্যের জন্য বিএনপি মহাসচিব তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এত দিন পরে তিনি সত্য কথা বললেন। এরপর সরকারের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।