মেননের বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে ১৪ দল

রাশেদ খান মেনন
রাশেদ খান মেনন

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি এক মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে ১৪ দল। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের বাসভবনে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রাশেদ খান মেননের কাছে পাঠানো হয়েছে।

গত শনিবার বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এর বড় সাক্ষী আমি নিজেই। আজ মানুষ তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত।’

মেননের এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা হয়। শাসক দল আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ একাধিক নেতা মেননের এ বক্তব্যের সমালোচনা করেন। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, মেনন মহা সত্য তুলে ধরেছেন। তুমুল এই আলোচনার মধ্য মেনন গত রোববার তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। এক বিবৃতিতে মেনন বলেন, তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ উপস্থাপন না করে অংশবিশেষ উত্থাপন করায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

আজ ১৪ দলের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে মেননের করা এক মন্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ১৪ দলের বৈঠকে সর্ব সম্মিতক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, মেনন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। পরে রাতেই চিঠি মেননের কাছে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, তরিকত ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক চাঁদপুরি প্রমুখ উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

আজ ১৪ দলের বৈঠক শেষে জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ে ১৪ দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। কেন্দ্রীয় ১৪ দল দ্রুত এ রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ১৪ দল। একই সঙ্গে বিচারিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।