স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা করে। এজাহারে বলা হয়, শিক্ষক তাকে বিয়ে করবেন বলে ধর্ষণ করেন।

শিক্ষকের নাম আমিনুল হক (৩৫)। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার তাঁতিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কেন্দুয়ার একটি স্কুলে তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক আমিনুল হক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে পড়ান। সেখানে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে তিনি মেয়েটিকে ওই কোচিং সেন্টারে আসতে বলেন। তাঁর কথা মতো ছাত্রীটি এলে তিনি সেখানে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই দিন মেয়েটি রাজি না হলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমিনুল জোর করে ধর্ষণ করেন। গত মঙ্গলবার আমিনুলকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় ওই ছাত্রী। এতে তিনি রাজি না হলে স্কুলছাত্রী ঘটনাটি সবাইকে বলে দেবে বলে জানায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আমিনুল তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে মেয়েটিকে বেখৈরহাটি এলাকা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে গৌরীপুরে তাঁর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তিনি ছাত্রীটিকে মারপিট করে ভয় দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। 

এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় অপহরণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর থেকে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম পলাতক। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ওই ছাত্রীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক আমিনুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।