২০১৯ সরকারের জন্য ব্যাড লাক: মওদুদ

মওদুদ আহমদ
মওদুদ আহমদ

২০১৯ সাল বর্তমান সরকারের জন্য ‘ব্যাড লাক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ। তাঁর দাবি, সরকারের গত ১০ বছরের যত দুর্নীতি ও দুঃশাসন, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ২০১৯ সালে।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নেতা রেহানা প্রধানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার মাদক ও ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে অভিযান শুরু করল, অনেক অভিযান করল। অনেক মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করল। কিন্তু একজন গডফাদারকেও তারা ধরতে পারেনি। কারণ এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। এগুলো হচ্ছে, আইওয়াশ।

মওদুদ বলেন, এরপর শোভন ও রাব্বানী কাণ্ড কাহিনি শুরু হলো। কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারপরে এল খালেদ, শামীম ও সম্রাটের কাহিনি। ধরা পড়েছে বলে আজকে তাদের নিয়ে আলোচনা। কিন্তু ক্যাসিনো থেকে সরকারের মন্ত্রীরা এবং প্রশাসনের যারা শেয়ার পেতেন, তাদের এমন একটা ভাব যে, তারা কিছুই জানেন না। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার তো করবে না, আপনাদের একটু যদি সাহস থাকে তাহলে আপনারা সব এমপি ও মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব চান। আসল জিনিস তখন বের হয়ে আসবে। তারা এই শাসন আমলে কত অর্থ সঞ্চয় করেছেন।’

সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ গঙ্গা, তিস্তার পানি পায়নি। এখন ফেনী নদী থেকে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ভারতকে দিতে হবে।এটা কি একটা দেশপ্রেমিক সরকারের দৃষ্টান্ত হতে পারে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই ভারত থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি, সব সময় দিয়েই এসেছেন।

‘বিচার বিভাগ থেকে ন্যায়বিচার শব্দটি উধাও হয়ে গেছে’ এমন মন্তব্য করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। যে মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কোথাও তাঁর সই নেই। তিনি জামিন পাবেন না কেন? তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনেই আছে, মহিলা যদি হয়, অসুস্থ যদি হয়, তাঁকে জামিন দিতে হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরাও জামিন পান। তিনি পাচ্ছেন না। আজ রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিচারকেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ, জাগপার সভাপতি তাসমিয়া প্রধান প্রমুখ।