খেয়েই পালালেন বর, তিনজন কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ে উপলক্ষে বিশাল ভূরিভোজের আয়োজন করেছে মেয়ের পরিবার। বরের খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ হলেই শুরু হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তখনই বিয়েবাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পুলিশ দেখে খাওয়া শেষে বিয়ে না করেই পালিয়ে যান বর। কিন্তু পালাতে পারেননি অন্যরা। বাল্যবিবাহ করাতে আসার অপরাধে কারাদণ্ড দেওয়া হয় বরের চাচাসহ তিনজনকে।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার বিকেলে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের তলট গ্রামে। অভিযানটি পরিচালনা করেন সাঁথিয়া ইউএনও এস এম জামাল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরের চাচা আনোয়ার হোসেন (৪০), কনের নানা ইসমাইল হোসেন (৫৫) ও বরের বন্ধু শাহীন শেখ (২৫)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বয়স মাত্র ১২ বছর। মেয়েটির অমতেই নানা ইসমাইল হোসেন উপজেলার কাবাশকান্দা গ্রামের রাব্বি শেখের (২৩) সঙ্গে এই বিয়ের আয়োজন করেন। বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে বিকেল চারটার দিকে পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে অভিযান চালান ইউএনও। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে খাওয়া শেষের পর বিয়ে না করেই পালিয়ে যান রাব্বি। এ সময় কনের নানা, বরের চাচা ও বরের এক বন্ধুকে আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও এস এম জামাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিয়ে বন্ধ করার পর মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন তিনি। বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটির পড়ালেখার যাবতীয় খরচ উপজেলা প্রশাসন বহন করবে।