টেকনাফে ডাকাতের সন্ধান পেতে ড্রোন ওড়াল র‍্যাব

রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সন্ধানে ড্রোন উড়িয়েছে র‍্যাব-১৫। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে
রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সন্ধানে ড্রোন উড়িয়েছে র‍্যাব-১৫। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের সন্ধানে ড্রোন দিয়ে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব-১৫) একটি দল। আজ শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত উপজেলার বাহারছড়ার টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে কয়েকটি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ সময় ডাকাতদের কয়েকটি আস্তানা ভেঙে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫–এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।

আজিম আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ডাকাত দল সক্রিয় আছে। মাঝে কয়েকজনকে আটক করা হলেও মূল হোতা আবদুল হাকিম ধরা পড়েনি। তার মূল আস্তানা রোহিঙ্গা শিবির–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

র‌্যাব সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির–সংলগ্ন পাহাড়ে থাকা ডাকাতেরা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকজনকে জিম্মি করে প্রায় সময় লুটপাট চালায়। এ ছাড়া ডাকাত দলের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঢুকে মালামাল লুটপাট করে। বিভিন্ন বয়সের লোকজনকে অপহরণ করে নিয়ে টাকা আদায়ের পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করে আতঙ্কও ছড়াচ্ছে তারা।

আজিম আহমেদ আরও বলেন, এই পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের বাহিনীর অবস্থানের খবর রয়েছে। তারা পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলে অপহরণ, খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করছে। হাকিম বাহিনীকে আটক করতে পাহাড়ি এলাকায় প্রাথমিকভাবে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এবারই প্রথম র‍্যাবের সদর দপ্তর থেকে ড্রোন এনে হাকিম ডাকাতের আস্তানার খোঁজ করা হয়েছে। তবে আস্তানাগুলোতে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাবের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।