রায়পুরায় যুবক হত্যা: স্ত্রী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালকসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহত শফিকুলের বড় ভাই আল আমিন বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলাটি করেন। মামলার পর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে গত বুধবার বেলা দেড়টায় শফিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শফিকুল নরসিংদী শহরের ইনডেক্স প্লাজায় মুঠোফোনের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রী রহিমা আক্তার শিবপুর শহীদ আসাদ কলেজের ছাত্রী ও নরসিংদী সদরের চরাঞ্চল করিমপুরের শ্রীনগরের শামীম মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কলেজে ভর্তির সময় রহিমার সঙ্গে পরিচয় হয় শফিকুলের। ২ অক্টোবর নরসিংদীর একটি কাজি অফিসে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সপ্তাহ পার না হতেই ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শফিকুল। এ নিয়ে কলহের একপর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন রহিমা। গত বুধবার দুপুরে শফিকুল কয়েকজন যুবকসহ সশস্ত্র অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন। স্ত্রীকে জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও সংঘর্ষের একপর্যায়ে শফিকুলকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির প্রথম আলোকে বলেন, টাকা–সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আটক নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রহিমা আক্তার ও শাশুড়ি মর্জিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।