সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণে তাম্মাত

সাইক্লিস্ট তাম্মাত বিল খয়ের।  সংগৃহীত
সাইক্লিস্ট তাম্মাত বিল খয়ের। সংগৃহীত

ছোটবেলা থেকেই সাইকেল চালানোর শখ। তার সঙ্গে যোগ হয় ভ্রমণের নেশা। একসময় এই দ্বিচক্রযানে চড়ে ভ্রমণের ইচ্ছে পেয়ে বসে তাম্মাত বিল খয়েরকে। সেই নেশা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে তাম্মাত ৬৪ জেলা ভ্রমণে বের হয়েছেন। ১৫ দিনে তাম্মাত পুরো দেশ ঘুরে রেকর্ড করতে চান এবার।

দ্বিচক্রযানে ৬৪ জেলা ভ্রমণের তাম্মাতের এই অভিজ্ঞতা প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাম্মাত ২৫ দিনে পুরো দেশ ভ্রমণ করে রেকর্ড করেছিলেন। তাম্মাত এবার নিজের সেই রেকর্ডটি ভাঙতে আবার ভ্রমণে বের হচ্ছেন।

তাম্মাত বলেন, ‘২০১৭ সালে ২৫ দিনের ভ্রমণটি একটি রেকর্ড ছিল। আমার জানামতে ওই রেকর্ড এখনো ভাঙেনি কেউ। আমি নিজে আমার রেকর্ড ভাঙার জন্য আবার ৬৪ জেলা ভ্রমণে যাচ্ছি। এবার লক্ষ্য ১৫ দিন। তবে তার আগেই শেষ করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’

তাম্মাত বিল খয়ের চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের গণিত বিষয়ে স্নাতক পড়ছেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ হলেও জন্ম চট্টগ্রামে। বাবা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেয়ামত আলী সিকদার পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে থাকেন। ছয় ভাই এক বোনের মধ্যে তাম্মাত সবার ছোট।

পরিবার থেকে তাম্মাতকে সাইকেলে দেশ ভ্রমণের বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। এবার তাম্মাত সচেতনতামূলক প্রচারও চালাবেন। দেশের বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রীদের জন্য জরুরি স্যানেটারি ন্যাপকিন বাক্স রাখার বিষয়ে ভ্রমণকালে তিনি প্রচারণা চালাবেন।

এ জন্য অনুদান সংগ্রহ করবেন। ভ্রমণ শেষে চট্টগ্রামে তাঁদের গ্রুপ প্লে-প্রো নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শৌচাগারগুলোতে জরুরিভিত্তিতে একটি স্যানিটারি নেপকিন বাক্স দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তাম্মাত।

তাম্মাত বলেন, ‘১২৮টি বিদ্যালয়ে জরুরি স্যানিটারি ন্যাপকিন বাক্স রাখার বিষয়ে সচেতন করার কাজ করব আমাদের গ্রুপের মাধ্যমে। ভ্রমণে আমি একা বের হচ্ছি। তবে সঙ্গে একটি মোটরসাইকেল থেকে আমার সাইকেল ভ্রমণ কিছুক্ষণ পরপর লাইভ করবে দুই বন্ধু।’

চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে যাত্রা শুরু করে ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে সিলেট যাওয়ার কথা তাম্মাতের। সেখান থেকে অন্যান্য জেলা হয়ে ঢাকায় ফিরবেন। এরপর উত্তরবঙ্গ যাবেন। সবশেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবেন তাম্মাত। চট্টগ্রামে তাঁর ভ্রমণ শেষ করবেন।