একই সঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের গৃহবধূ সাহিদা বেগম (২৪) একই সঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এর দুটি মেয়ে, একটি ছেলে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনটি সন্তানই সুস্থ ছিল।

 গৃহবধূ সাহিদার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর একলাছ মিয়ার সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে একই উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকাতপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার আজহার আলীর মেয়ে সাহিদা বেগমের বিয়ে হয়। এই প্রথম তাঁদের সন্তান হলো।

একলাছ বলেন, ‘১৬ অক্টোবর সাহিদা বেগমের প্রসবব্যথা শুরু হলে আমার বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। এ সময় সাহিদা অসুস্থ হলে গাইবান্ধা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাম করার পর চিকিৎসক তাঁর গর্ভে আরও দুই সন্তানের অস্তিত্ব খুঁজে পান। পরে ওই রাতেই অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে সাহিদার দুই কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।’ গত বৃহস্পতিবার ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নেন বলে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক কাঞ্চন কুমার জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে তিন সন্তান ও মা সাহিদা বাড়িতে সুস্থ আছেন।

একলাছ মিয়ার অভাবের সংসার। দিনমজুরির পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভাব-অনটনের পরিবারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর বাবা একলাছ।

 বর্তমানে অর্থাভাবে নবজাতক সন্তানদের সঠিক ভরণপোষণ করাতে পারছেন না একলাছ মিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বাচ্চাদের দুধের পেছনে ৬৫০ টাকা খরচ হচ্ছে; যা জোগান দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই নবজাতকদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ধনাঢ্য ও হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছি।’