'ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার' স্থাপনের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল

কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিং মলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকারনিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২৪ অক্টোবর রিটটি করা হয়। জনস্বার্থে ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও তাঁর মা আইনজীবী ইশরাত হাসান ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আবদুল হালিম।

এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনে কর্মক্ষেত্র, শপিংমল, এয়ারপোর্ট, বাসস্টপ, রেলওয়ে স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রুলে কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিং মলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকারিনিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার প্রতিষ্ঠায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি শপিং মল এবং অন্যান্য জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী আবদুল হালিম বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে জীবনধারণের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। মায়ের দুধপান শিশুর মৌলিক অধিকার। দুধপানের অভাবে শিশু খর্বকায় হচ্ছে, এমন তথ্য আদালতে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া জনসমাগম স্থলে স্মোকিং জোন থাকলেও ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার নেই, যা বৈষম্যমূলক। এই যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত এসব রুল দেন।