চুরির কথা বলে দেওয়ায় তিন বন্ধু খুন করে শিশু বুলবুলকে

গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ডাব ও সুপারি চুরি করতেন তাঁরা। চুরি করা পণ্য বিক্রি করে নেশাও করতেন। চুরির কথা প্রকাশ করায় তিন বন্ধু মিলে বুলবুল হাসানকে (১২) হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর পানিতে ডুবিয়ে রাখে।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার মাস্টারপাড়া গ্রামের শিশু বুলবুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি সালাম মিয়া (১৯)। গতকাল শনিবার বিকেলে জামালপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

বুলবুল ওই উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার মাস্টারপাড়া গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে। সে বাগানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২৫ আগস্ট বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই তার মা আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর জামালপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন। ৫১ দিনেই পিবিআই সদস্যরা হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেন।

জামালপুরে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, তিন বন্ধু সালাম মিয়া, মো. আলামিন ও মনির হাসানের সঙ্গে ছিল সখ্য ছিল বুলবুলের। ওই তিনজনের চুরির বিষয়টি প্রকাশ করে দেয় বুলবুল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা তাকে হত্যা করে। প্রধান আসামি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।