সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জুতার মধ্যে ১৮ সোনার বার

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক মোটরসাইকেল আরোহীকে হাসপাতালে নিতে অটোরিকশায় ওঠানোর সময় তাঁর জুতার মধ্য থেকে সোনার বারগুলো বেরিয়ে আসে। গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী, ২৭ অক্টোবর। ছবি: এম রাশেদুল হক
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক মোটরসাইকেল আরোহীকে হাসপাতালে নিতে অটোরিকশায় ওঠানোর সময় তাঁর জুতার মধ্য থেকে সোনার বারগুলো বেরিয়ে আসে। গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী, ২৭ অক্টোবর। ছবি: এম রাশেদুল হক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আজ রোববার দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই দুই বাহনের আরোহীরা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় আরোহীদের একজনের জুতার মধ্য থেকে ১৮টি সোনার বার বের হয়ে পড়ে।

সোনার বার পাওয়া ওই মোটরসাইকেল আরোহীর নাম বিপ্লব হোসেন (৩০)। তিনি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশি হেফাজতে তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দুর্ঘটনায় আহত অন্য মোটরসাইকেল আরোহী হলেন গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি গ্রামের রেজাউল করিম (২৮)। তিনিও ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের সামনে ওই দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে বিপ্লব মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। অপর দিকে রেজাউল গোয়ালন্দ থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এতে উভয় আরোহী মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। এ সময় বিপ্লবকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অটোরিকশা তুলতে গেলে তাঁর জুতার ভেতর থেকে সোনার বারগুলো বেরিয়ে আসে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মোট ১৮টি সোনার বার পায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপ্লব হোসেন সোনার বার বহনের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এই সোনার মালিক ঢাকার তাঁতীবাজারের সুরঞ্জিত নামের এক ব্যক্তি। আমি তাঁকে চিনি না। আমি সাগর নামের এক ব্যক্তির থেকে ২০টি বার নিয়ে যশোরের জসিম নামের এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলাম।’ বিপ্লব দাবি করেন, বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে সোনার বারগুলো বহন করা হচ্ছিল। তবে নিরাপত্তার জন্য তিনি বারগুলো জুতার মধ্যে বহন করেছিলেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আহত বিপ্লব হোসেন পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পারিবারিকভাবে তাঁরা সোনার ব্যবসায়ী। বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে তিনি বারগুলো বহন করছিলেন বলে দাবি করেছেন। যদি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে। না পারলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।