বিনা খরচে সিশেলস যাবে কর্মীরা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিনা খরচে গিয়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। মাসে বেতন হবে ৪০ হাজার টাকার মতো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কর্মী পাঠানো হবে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই দেশটিতে। তাই সিশেলস যেতে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করতে আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

আজ রোববার বিকেলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানানো হয়। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, সিশেলস থেকে চাহিদাপত্র আসার পর কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল। ১০ থেকে ১৫ হাজার কর্মী দেশটিতে পাঠানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সৌদিতে ধরপাকড়ের শিকার হয়ে দেশে ফেরার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, বৈধ কর্মীও নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে অবৈধ হয়ে পড়তে পারেন। তবে ফিরে আসা ১৩০ কর্মীর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এজেন্সির তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে দায়ী এজেন্সিকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সবাই এ বাজারের দিকে তাকিয়ে আছে। আগামী মাসের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।অনিয়মিত উপায়ে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন শ্রমবাজার চালু করতে চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে ইউরোপের রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশ থেকে বিভিন্ন খবর আসছে। সব জায়গায় গুরুত্ব দিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাপানে কর্মী পাঠাতে কোনো টাকা খরচ হবে না। বরং জাপানি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান কর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে সার্ভিস চার্জ দেবে। কর্মী পাঠাতে ১১টি বেসরকারি এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনিয়মের দায়ে একটির অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। এজেন্সির সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচাই-বাছাই চলছে।


অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিশেলসে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি কর্মী বর্তমানে কর্মরত আছেন।অধিকাংশ কর্মী নির্মাণ শিল্পে কাজ করেন। হোটেল, পর্যটন, স্বাস্থ্য সেবা, হাউজ কিপিং, বাবুর্চি, কৃষি খামার, পোলট্রি খামার খাতেও কিছু কর্মী কাজ করেন। তবে ফিশিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পর্যটন খাতে কাজের সুযোগ আছে আগ্রহী কর্মীদের। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল সিশেলস সরকার। জনশক্তি পাঠানো নিয়ে গত ২১ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা।