অবৈধ গ্যাস-সংযোগ, রাজধানীতে দুদকের অভিযান

দুদক
দুদক

রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি ও অবৈধ গ্যাস–সংযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তিতাসের সহায়তায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত তিনটি গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করে দেয় দুদকের দল।

আজ রোববার এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মীরাজের সমন্বয়ে একটি দল রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের সুলতান চেয়ারম্যানের বাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে অবৈধ গ্যাস–সংযোগ থাকার প্রমাণ পায় দুদক দল।

দুদক জানিয়েছে, অভিযানের সময় একটি বাড়িতে গ্যাসের দুটি রাইজারে ১০টি সংযোগের জায়গায় ১৩টি সংযোগ পাওয়া যায়। দুদকের দলটি তিতাসের কুড়িল জোন-৯–এর সার্ভিল্যান্স কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত অতিরিক্ত তিনটি গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করে দেয়। ওই এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়ির গ্যাস–সংযোগগুলো বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নীতিমালা অনুযায়ী জরিমানা আরোপ করাসহ তিতাসের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে দুদক দল।

দুদকের হটলাইন ১০৬–এ কুষ্টিয়ার খোকসা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ–বাণিজ্য এবং কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়। অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দলটি। এ সময় শিক্ষক–কর্মচারী নিয়োগ ও কেনাকাটাসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুদক দল। কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিপুল পরিমাণ সম্পদ আছে বলে দুদক দলের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেবে দলটি।

এ ছাড়া দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬–এ আসা অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে প্রতিবেদন আকারে জানানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, খুলনা জেলা প্রশাসক, সিআইডির এআইজিকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) চিঠি দেওয়া হয়েছে।