ঘুষের টাকাসহ আনসার কর্মকর্তা হাতেনাতে গ্রেপ্তার

দুদক
দুদক

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বগুড়ার সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার বিকেলে শহরের মালতিনগর এলাকায় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। দলে ছিলেন উপসহকারী পরিচালক ওয়াহেদ মঞ্জুর ও সুদীব কুমার চৌধুরী এবং সহকারী পরিদর্শক মাহবুবর রহমান।

অভিযানে থাকা দুদক কর্মকর্তারা জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছিল। এই অনুষ্ঠানে ওই কার্যালয়ের ১২ জন ওয়ার্ড লিডার উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তাঁদের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। তিনি ওই ১২ জনকে বলেন, ‘তোমরা অনুষ্ঠানে না থাকার কারণে চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে। এখন চাকরি রক্ষা করতে হলে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার আমাকে দিতে হবে।’ এরপর ওই ১২ জনের সঙ্গে আনিছুর রহমানের দর-কষাকষি হয়। একপর্যায়ে ওই ১২ জনের কাছে ১০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আনিছুর রহমান। এর মধ্যে ২২ অক্টোবর ওই ১২ জনকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে আনিছুর বলেন, ১০ হাজার করে টাকা না দিলে কারও চাকরি থাকবে না।

তাঁদের মধ্যে ওয়ার্ড লিডার শাকিল আল মামুন বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় আনিছুরকে গ্রেপ্তারের ফাঁদ তৈরি করেন দুদক কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনামতে, আজ বিকেলে শাকিলসহ আরেকজন ঘুষের টাকা দিতে যান। এ সময় দুদকের ওই দল উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের আশপাশেই অবস্থান করছিল। পরে দুদকের কর্মকর্তাদের দেখে আনিছুর রহমান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দুদক সদস্যরা তাঁকে ঘুষের ২০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। তাঁর ড্রয়ার তল্লাশি করে আরও ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

বগুড়া দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক কার্যালয়ে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (৫) ধারায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা শেষে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।