আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আরেক আসামি মাহমুদ রিমান্ডে

আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আরও এক আসামি এস এম মাহমুদকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ অনুমতি দেন।

আসামি এস এম মাহমুদ বুয়েটের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আসামি মাহমুদকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন বলে সাক্ষ্য–প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্য যেসব আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে এই আসামির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে। এই মামলার আরও যেসব আসামি জড়িত, তাঁদের খুঁজে বের করার জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

এদিকে আসামি এস এম মাহমুদের পক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছেন আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর মক্কেল কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি বুয়েট থেকে আগেই পাস করে বেরিয়ে গেছেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামি এস এম মাহমুদকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে এর আগে আরও ২০ জন ছাত্র গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। সেখানেই ভয়ংকর নির্যাতন করে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা।

আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, নির্যাতনের সময় আবরার ফাহাদ পানি পান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা তাঁকে সেই সুযোগ দেননি। ক্রিকেট স্টাম্প এবং মোটা রশি দিয়ে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা করেন।