ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা প্রশংসিত

শাবিপ্রবিতে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে সময়মতো কেন্দ্র পৌঁছে দিয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন।
শাবিপ্রবিতে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে সময়মতো কেন্দ্র পৌঁছে দিয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ভর্তি-ইচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীকে সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব-৯) এক কর্মকর্তা। পরে ঘটনাটি নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের পর এখন তিনি ফেসবুকে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন।

র‍্যাবের ওই কর্মকর্তার নাম মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি র‍্যাব-৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)। শাবিপ্রবিতে গত শনিবার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন তিনি এক ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধা মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছে দেন।

এএসপি আনোয়ার হোসেনের ফেসবুকের যে পোস্টটি প্রশংসা কুড়াচ্ছে সেটার মূল বক্তব্য হলো, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর ভর্তি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শাবিপ্রবিতে ভর্তি-ইচ্ছুক প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থীর ভারে সিলেট শহর তখন বিধ্বস্ত। জ্যামের কারণে সড়ক যেন বন্ধ প্রায়। কেন্দ্রে ঢোকার জন্য তখন সময় ছিল মাত্র ১০ মিনিট। পরে এএসপি আনোয়ার তাঁদের দুজনকে গাড়িতে তুলে নেন। এরপর গাড়ির ইমার্জেন্সি সাইরেন বাজিয়ে রাস্তার জ্যাম ঠেলে দ্রুত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন। তাঁরা যখন কাঙ্ক্ষিত কেন্দ্রে পৌঁছান, তখন পরীক্ষাকেন্দ্রের গেট বন্ধ হতে আধা মিনিটের কম সময় ছিল।

র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশে যোগ দেওয়ার আগে তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর আলাদা মায়া আছে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষার দিন নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ওই কাজটি করেছিলেন। সময়মতো ওই শিক্ষার্থীকে কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে পেরে তাঁর নিজের কাছেই খুব ভালো লাগছিল। ভালো লাগার বিষয়টি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে জানান। যাতে অন্যরাও এমন উদ্যোগ নেন। তবে এটি এভাবে ছড়িয়ে পড়বে, সেটা তিনি ভাবেননি।