ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় জেলেদের সাহায্যে দেওয়া সরকারি চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. মামুন হাওলাদার। তিনি মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জেলেদের জন্য বিশেষ মৎস্য ভিজিএফের ১ হাজার ৭১৭ কেজি চাল ওজনে কম দিয়েছেন।

কলাপাড়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেন, মহিপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম আকন অসুস্থ থাকায় মহিপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মামুন হাওলাদার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্বের অংশ হিসেবে মামুন সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জেলেদের মধ্যে বিতরণের জন্য চাল ছাড়িয়ে নেন। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন এই চাল জেলেদের সহায়তায় দেওয়া হয়।

কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তপন কুমার ঘোষ বলেন, মহিপুর ইউপির কার্যালয়ে আজ ১ হাজার ২০০ জেলের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়। ৬৮৭ জন জেলের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। জেলেদের অভিযোগ ছিল, শুরু থেকেই মাপে দুই থেকে আড়াই কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে। ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে জেলেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মহিপুর থানায় বিষয়টি জানান। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাৎক্ষণিক ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে চাল দেওয়া বন্ধ করতে বলেন। খবর পেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে যান। জেলেদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাল মেপে দেখা যায়, ৬৮৭ জন জেলেকে ১ হাজার ৭১৭ কেজি চাল কম দেওয়া হয়েছে। চাল কম দেওয়ার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ওসি ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেন।

তপন কুমার আরও বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কাল মঙ্গলবার তাঁকে কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে।