সোনা চোরাচালানের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

সোনা চোরাচালানের এক মামলায় ইদ্রিস আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় দেন।


আদেশে বলা হয়, আসামি ইদ্রিস আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫বি(১)(এ) ধারায় এই কারাদণ্ড প্রদান করা হলো । জব্দ করা আলামত সোনা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হলো।

দণ্ডিত ইদ্রিস আলী যশোরের বেনাপোল বন্দর থানার খলসী গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার পর তাঁকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২ জুলাই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুরে ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে বিজিবির টহলদল আসামি ইদ্রিস আলীকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তাঁর প্যান্টের কোমরে লুকানো অবস্থায় সাতটি সোনার বার (ওজন ৮১৫ গ্রাম বা ৭০ভরি) পাওয়া যায়। বিজিবির কর্মকর্তারা সোনার বার তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করেন। জব্দ করা সোনার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা।

ওই ঘটনায় বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) নায়েক রাসেল শিকদার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ইদ্রিস আলীকে আসামি করে মামলা করেন। এবং জব্দ করা সোনার বার সরকারি কোষাগারে (ট্রেজারি) জমা দেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল চন্দ্র সমাদ্দার তদন্ত শেষে ইদ্রিস আলীকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ৩১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়।