চুরির গয়না বিক্রি করতে এসে কিশোর ধরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চুরি করা সোনা কম দামে বিক্রি করতে এসে আটক হয়েছে এক কিশোর। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে জগন্নাথপুর পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পৌর শহরের জগন্নাথপুর বাজারের বাসুদেব জুয়েলারি নামের একটি দোকানে সোনার গয়না বিক্রির জন্য নিয়ে আসে এক কিশোর। দোকানের মালিক কাজল বণিক ওজন করে দেখেন, গয়নাগুলোয় ৪ ভরি ৬ আনা সোনা আছে। কত টাকায় বিক্রি করতে চায় জানতে চাইলে ওই কিশোর মাত্র ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় দোকানমালিকের সন্দেহ হলে তিনি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিনকে ফোন করে ডেকে আনেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে জানায়, গয়নাগুলো সে চুরি করে এনেছে।

জানতে চাইলে দোকানের মালিক কাজল বণিক জানান, ‘৪ ভরির বেশি ওজনের সোনার গয়না মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চায় শুনে আমার সন্দেহ হয়। পরে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদককে জানালে তিনি এসে ওই কিশোরকে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে যান।’

জগন্নাথপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বর্ণালংকারসহ ওই কিশোরকে আমার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রথমে গয়নাগুলো তার মায়ের বলে দাবি করে। একপর্যায়ে সে বলে, সোনাগুলো পৌর শহরের হবিবনগর এলাকা থেকে সে চুরি করেছে। পরে তাকে জগন্নাথপুর থানা-পুলিশে সোর্পদ করি।’

হবিবনগর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ জিতু মিয়ার অভিযোগ, তাঁর বাসা থেকেই ওই স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে খালি বাসায় চোর ঢুকে আলমারি থেকে গয়নাগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া গয়নার মধ্যে একটি গলার হার, এক জোড়া কানের দুল, এক জোড়া আংটি ও একটি গলার চেইন ছিল। চোর ধরা পড়েছে শুনে থানায় গিয়েছি।’

জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হবিবনগর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ জিতু মিয়ার বাসা থেকে গয়নাগুলো চুরি করেছে বলে আটক তরুণ জানিয়েছে। উদ্ধার করা গয়নাগুলো পুলিশের জিম্মায় আছে। উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়ার পর গয়নাগুলো মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।