অর্থ আত্মাসাৎ করে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

সরকারি টাকা আত্মসাতের দায়ে অগ্রণী ব্যাংকের ভাঙ্গার মালিগ্রাম শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্তকৃত) মো. কামরুল হাসানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের জজ মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর কামরুল হাসানকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, ২০১৩ সালের ১০ জুন ভাঙ্গা থানায় মালিগ্রাম শাখা অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক বকুল মোল্লা মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত কামরুল হাসান ওই শাখার ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তিনি ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়ে ৪২ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৪টাকা আত্মসাৎ করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশন (দুদক) সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর খাঁন। ২০১৫ সালের ২৪ জুন তিনি এ মামলায় কামরুল হাসানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন।

আদালত মো. কামরুল হাসানকে ১৯৬০ সালে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪২ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৪ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তাঁকে আরও পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আসামি সব সাজা এক সঙ্গে ভোগ করতে পারবেন।