'মেয়র নাছিরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে'

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ফাইল ছবি
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ফাইল ছবি

প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ জন্য বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের ইঙ্গিত করে আজ মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ৪৬ কাউন্সিলর। সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

গত রোববার চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ ও ছয়টি সাংগঠনিক জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি সভার মঞ্চ থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী ও নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এতে প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম নগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

বিবৃতিতে কাউন্সিলররা বলেন, প্রতিনিধি সভার আগের দিন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে কেন্দ্রীয় নেতারা, চট্টগ্রামের মন্ত্রী, ছয় জেলার সাংসদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করবেন। কিন্তু সভা শেষে একটি ‘নন ইস্যুকে’ ইস্যু করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান হচ্ছে।

কাউন্সিলররা দাবি করেছেন, বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরের অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন। বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এখন মেয়রের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ ও ঘৃণা প্রচারে ব্যস্ত। তাঁরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জোবাইরা নার্গিস খান, নিছার উদ্দিন আহমেদ, কাউন্সিলরদের মধ্যে তৌফিক আহমদ চৌধুরী, মো. শাহেদ ইকবাল, কফিল উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ, সৈয়দা কাশফিয়া নাহরিন, জেসমিন পারভীন, আবিদা আজাদ প্রমুখ।