দালালের হাতেই লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা!

দুদক
দুদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) তিনি কোনো চাকরি করেন না। তারপরও তাঁর হাতে থাকে লাইসেন্সের আবেদন ফরম, লাইসেন্স নবায়ন ফির বই, জন্মনিবন্ধন বইসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কাগজপত্র। এ ছাড়া সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফিও নিচ্ছেন। ডিএনসিসির কর অঞ্চল-৫–এ গিয়ে এমন চিত্র দেখেছে দুদকের একটি দল। তাঁকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের দলটি। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার ও উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালামের সমন্বয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট দল অভিযান চালায়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানিয়েছে, কারাদণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যস্থতাকারী বা দালাল হিসেবে কাজ করেন। দুদকের দলটি তাঁর কাছ থেকে কাগজপত্রসহ ৬৩ হাজার ৮৬ টাকা উদ্ধার করা হয়, যা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে আদায় করা। তাঁকে আটকের পর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে তিন দিনের সাজা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫–এর কর কর্মকর্তা ও লাইসেন্স পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন বাবদ অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থ লেনদেন ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে দুদকের অভিযানটি চালানো হয়। অভিযান শেষে দুজন লাইসেন্স পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ঘুষ লেনদেন এবং গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে দুদক দল।