'উত্তপ্ত' দুই পক্ষই হঠাৎ নমনীয়

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ফাইল ছবি
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ফাইল ছবি

মঞ্চ থেকে প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পাল্টা কর্মসূচি না দিতে অনুসারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। একই সঙ্গে হাসিনা মহিউদ্দিনের কাছে মেয়র নাছিরের ক্ষমা চাওয়ার ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা পার হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বসার কথা থাকলেও বৈঠক হয়নি।

আন্দোলনের উদ্যোক্তা ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরিবারের ঐক্যের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছি। মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীর প্রতি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণে যাঁদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাঁদের আবেগকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’

এদিকে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গত সোমবার দিবাগত রাত একটায় একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। এতে তিনি তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি অনলাইন পোর্টালের দিকে আঙুল তুলেছেন।

চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে কার কার মঞ্চে থাকার কথা ছিল, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

গত রোববার আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভার মঞ্চ থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী ও নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হন। গত সোমবার তাঁরা চট্টগ্রাম নগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ ঘটনায় সরব রয়েছেন মেয়র নাছিরের অনুসারীরাও। ফেসবুকে চলছে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ।

এ প্রসঙ্গে মেয়র নাছির প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দিন ভাই আমাদের শ্রদ্ধাভাজন নেতা। আর প্রতিনিধি সভার দিন মঞ্চে অনুমোদিত ব্যক্তিদের থাকতে বলেছি। কিন্তু ওই ঘটনা নিয়ে মহিউদ্দিন ভাইয়ের নাম বিক্রি করে বিলবোর্ড সিন্ডিকেটের নেতারা সোচ্চার রয়েছেন। এটা দুঃখজনক।’

পাল্টা কর্মসূচি না দিতে অনুসারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন জানিয়ে মেয়র নাছির আরও বলেন, ‘মহিউদ্দিন ভাইয়ের নামে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমি আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের নামকরণ করেছি। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার জায়গায় আছেন।’

মহিউদ্দিন চৌধুরীর তিনজন অনুসারী প্রথম আলোকে জানান, হাসিনা মহিউদ্দিনের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী জানতে পেরেছেন। এই মুহূর্তে বড় কর্মসূচির দিকে না যাওয়া ভালো।