অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অশীতিপর রাবেয়া

রাবেয়া খাতুন। প্রথম আলোর ফাইল ছবি
রাবেয়া খাতুন। প্রথম আলোর ফাইল ছবি

অশীতিপর রাবেয়ার বিরুদ্ধে ১৭ বছর আগে হওয়া অস্ত্র মামলাটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন তিনি।

আজ বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।

রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রাবেয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট মামলাটি বাতিল ঘোষণা করেছেন। এতে রাবেয়া এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আর ওই মামলা থাকল না।

‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এর শুনানি গ্রহণে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলার নথি তলবের পাশাপাশি নিম্ন আদালতে থাকা মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়।

২০০২ সালে করা ওই মামলায় রাবেয়ার বয়স ৬০ বছর বলা হয়। সে অনুসারে তাঁর বয়স হয় ৭৭ বছর। তবে রাবেয়ার ভাষ্য, তাঁর বয়স ১০৪ বছর।

জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেন রাবেয়া। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে, তাও জানেন না। রাবেয়া বলেছিলেন, ‘পুলিশেরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দেই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।’

অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল ‘১৫ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন বৃদ্ধ রাবেয়া’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।