টাওয়ারে উঠে নাচানাচি করছিলেন লোকটি

রাজশাহীর বাগমারায় আজ বুধবার মুঠোফোনের টাওয়ারে ওঠে নাচানাচি করছিলেন এক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহীর বাগমারায় আজ বুধবার মুঠোফোনের টাওয়ারে ওঠে নাচানাচি করছিলেন এক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। ছবি: প্রথম আলো

টাওয়ারের শীর্ষে বসে নাচানাচি করছিলেন এক ব্যক্তি। লোকজন তাঁকে নামানোর চেষ্টা করেও পারছিলেন না। শেষে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেওয়া হয়। তাদের সহযোগিতায় এক ঘণ্টা পর প্রায় ২০০ ফুট উঁচু স্থান থেকে নামানো হয় তাঁকে। তাঁর নাম আফাদ আলী (৪৫)। তিনি রাজশাহীর বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফাদ বাগমারা থানা মোড়ে অবস্থিত এয়ারটেল ও রবি (যৌথ) কোম্পানির মুঠোফোনের টাওয়ারের প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তিনি টাওয়ারের মই বেয়ে শীর্ষে উঠে যান। সেখানে উঠে নাচানাচি ও চিৎকার শুরু করলে লোকজনের নজরে আসে বিষয়টি। তিনি লাফ দেওয়ারও চেষ্টা করেন। এতে লোকজনের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। এ সময় লোকজন তাঁকে নামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আফাদকে টাওয়ার থেকে নামানোর চেষ্টা করে। তবে তিনি নামেননি। পুলিশ অবস্থা বেগতিক দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় আফাদ আলীর পরিবারের লোকজনও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাঁকে নামানোর চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে থানায় দেন। পরে পুলিশ আফাদ আলীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

বাগমারা ফায়ার স্টেশনের লিডার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, লোকটি মানসিক প্রতিবন্ধী। তাঁকে প্রায় ২০০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে নামানো হয়েছে।

আফাদ আলীর পরিবারের লোকজন বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। আজ সকালে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরে তাঁকে বাগমারা থানার মোড়ে মুঠোফোনের টাওয়ারে পাওয়া যায়।

বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, লোকটি মানসিক প্রতিবন্ধী। তাঁকে উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজনের কাছে দেওয়া হয়েছে।