কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় মিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়া দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় এক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পুটিমারী গ্রামের কামরুল ইসলাম ও কামাল হোসেন। কামাল পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

একই মামলার অন্য তিন আসামি কোরবান আলী, কোরবানীর স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও কামাল হোসেনের স্ত্রী রুপালী খাতুনকে অভিযোগের দায় থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৪ জুলাই পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি কামালের বাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন মিলে মিরাজুলকে হাঁসুয়া, রামদা ও লোহার শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জুলাই মিরাজুলের স্ত্রী তসলিমা খাতুন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি কামাল হোসেনের স্ত্রী রুপালী খাতুনের সঙ্গে তাঁর স্বামীর অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে কামালের সঙ্গে তাঁর স্বামীর শত্রুতার সৃষ্টি হয়। কামাল দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্বামীকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।

মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল আলম খান মামলাটি তদন্ত করেন। তিনি আসামি কোরবান আলী, কামরুল ইসলাম, আকলিমা খাতুন, কামাল হোসেন ও রুপালী খাতুনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় ২০১৫ সালের ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।