ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাসে হারানো টাকা ফেরত পেলেন তিনি

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নেতা কুড়িয়ে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আজ বুধবার প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নেতা কুড়িয়ে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আজ বুধবার প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো

ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে হারানো ৫০ হাজার টাকা ফেরত পেলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খাঁপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও যাত্রাগাছি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হান্নান (৫২)। প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর আজ বুধবার উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের ওই নেতা টাকা ফেরত দেন। টাকা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক।

উপজেলার ভবানীগঞ্জ দানগাছি গ্রামের বাসিন্দা ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। নগরের রেলগেট এলাকায় অটোরিকশা থেকে নামার সময় সেখানে একটি টাকার বান্ডিল দেখতে পেয়ে তা তুলে নেন তিনি। টাকার মালিককে শনাক্তের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। পরে নিজের ফেসবুকে টাকা পাওয়ার তথ্য জানিয়ে তিনি স্ট্যাটাস দেন। উপযুক্ত প্রমাণসহ বৈধ মালিককে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করেন। এই স্ট্যাটাস অনেকে শেয়ার করেন।

২৯ অক্টোবর মাদ্রাসাশিক্ষকের নজরে আসে স্ট্যাটাসটি। পরে তিনি ছাত্রলীগ নেতার পাওয়া টাকার বান্ডিলটি তাঁর বলে দাবি করেন। এ সময় টাকার পরিমাণ ও নোটের বিবরণ দেওয়া ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে তিনি একই গাড়িতে করে রাজশাহী গিয়েছিলেন। আজ সকালে টাকার মালিক দাবিদার মাদ্রাসাশিক্ষককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ডেকে প্রশাসনের মাধ্যমে টাকার বান্ডিল তুলে দেন।

এ সময় ইউএনও শরিফ আহম্মেদ, থানার ওসি আতাউর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলী সরকার, ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা আবদুল মজিদসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাদ্রাসাশিক্ষক আবদুল হান্নান বলেন, বাড়ির কিছু মালামাল কেনার জন্য ওই দিন তিনি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে রাজশাহী গিয়েছিলেন। দোকানে গিয়ে মালামালের দাম দিতে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন তাঁর টাকার বান্ডিলটি খোয়া গেছে। মালামাল না কিনেই ওই দিন বাড়িতে ফিরে এসে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন। হারানো টাকা ফেরত পাবেন, এমনটা তিনি ভাবেননি।

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রকৃত মালিকের হাতে টাকা তুলে দিতে পেরে তাঁর খুব ভালো লাগছে। টাকা পাওয়ার পরই ভেবেছি কারও কষ্টের টাকা। তাই সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মালিককে খোঁজার চেষ্টা করেছি। এতে সফল হয়েছি।’