পাথর উত্তোলন বন্ধে এবার ট্রাক্টরের চাকা ফুটো

টিলা কেটে উত্তোলনের পর এসব ট্রাক্টরে করে পরিবহন করা হয় পাথর। এমন সাতটি বাহনের চাকা ফুটো করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শাহ আরেফিন টিলা, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
টিলা কেটে উত্তোলনের পর এসব ট্রাক্টরে করে পরিবহন করা হয় পাথর। এমন সাতটি বাহনের চাকা ফুটো করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শাহ আরেফিন টিলা, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় নিষিদ্ধ পাথর উত্তোলন বন্ধে এবার সাতটি ট্রাক্টরের চাকা ফুটো করা হয়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল রাখার জিনিসপত্র গর্তে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্যের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত একনাগাড়ে চার ঘণ্টা এই অভিযান চলে। এতে পাথর উত্তোলনের শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ১৫টি মেশিন, ১ হাজার ৫০০ ফুট পাইপ ও সাতটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। এরপর জ্বালানি রাখার জিনিসপত্রসহ পাইপ গর্তে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

শাহ আরেফিন টিলা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৩৭ দশমিক ৫০ একর খাস খতিয়ানের এই টিলার নিচে রয়েছে বড় বড় পাথরখণ্ড। এসব পাথর উত্তোলন করতে একটি চক্র ২০০৯ সাল থেকে নানা কৌশল ব্যবহার করছে। তবে বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি পাথর উত্তোলনের সময় টিলা ধসে ছয় পাথরশ্রমিক নিহত হওয়ার পর।

অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ‘বোমা মেশিন’ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি। শাহ আরেফিন টিলা, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ‘বোমা মেশিন’ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি। শাহ আরেফিন টিলা, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান অব্যাহত রাখছে। কিন্তু বিভিন্ন চক্র সুযোগ খুঁজে পাথর উত্তোলনে নেমে পড়ে।

এর আগে ১৭ অক্টোবর সিলেট জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৭৫ লাখ টাকার বোমা মেশিনের যন্ত্রাংশ ধ্বংস ও জব্দ করা হয়েছিল। এরপর উৎস ধ্বংস করতে বোমা মেশিন চালানোর ১২ ড্রাম জ্বালানি তেল, ১৬টি লরি, চার হাজার ফুট পাইপ, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ২২টি যন্ত্র ও চারটি বোমা মেশিন আগুনে পোড়ানো হয়। ১০ অক্টোবর অন্য একটি অভিযানে ৩০০ লিটার ডিজেল পোড়ানো হয়েছিল।

ইউএনও সুমন আচার্য প্রথম আলোকে বলেন, বোমা মেশিনসহ নিষিদ্ধ যন্ত্র কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে প্রতিদিন অভিযান চালানো হবে।