মালয়েশিয়ায় 'হেলথকেয়ার ট্রাভেল ২০২০' শুরু

মালয়েশিয়ায় ‘হেলথকেয়ার ট্রাভেল ২০২০’ শুরু হয়েছে। কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা বিশ্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই এ আয়োজন করেছে দেশটি। ম্যাজেস্ট্রি হোটেল, মালয়েশিয়া, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
মালয়েশিয়ায় ‘হেলথকেয়ার ট্রাভেল ২০২০’ শুরু হয়েছে। কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা বিশ্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই এ আয়োজন করেছে দেশটি। ম্যাজেস্ট্রি হোটেল, মালয়েশিয়া, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

মালয়েশিয়ায় ‘হেলথকেয়ার ট্রাভেল ২০২০’ শুরু হয়েছে। কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা বিশ্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই এ আয়োজন করেছে দেশটি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ম্যাজেস্ট্রি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে দেশটির অর্থ উপমন্ত্রী হাজি আমির উদ্দিন বিন হাজি হামজা এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

মালয়েশিয়ায় হেলথকেয়ার ট্রাভেল ২০২০-এর সংক্ষিপ্ত নাম ‘এমওয়াইএইচটি ২০২০’। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘২০২০ সালে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করুন’ ক্যাম্পেইনও শুরু হয়েছে। হেলথকেয়ার ট্রাভেলের মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়া বিশ্বকে জানাতে চায় যে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ‘এশিয়ার ইউরোপ’-খ্যাত দেশে আসুন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল লিভিং স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মালয়েশিয়া স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বে সেরা দেশের তকমা পেয়েছে। এই অর্জনের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল ট্রাভেল জার্নালের জরিপে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ‘চিকিৎসাসেবার গন্তব্য’ শীর্ষক তকমাও পেয়েছে মালয়েশিয়া। মানসম্মত চিকিৎসাসেবা, সবার চিকিৎসার সুযোগ ও কম খরচের কারণেই মালয়েশিয়া এসব অর্জন করেছে বলে অনুষ্ঠানে জানান দেশটির হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিলের (এমএইচটিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেরিনা আজিল।

কীভাবে এত দূর আসা, তা ব্যাখ্যা করে সেরিনা আজিল বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যাতায়াতের সুবিধার কারণে এই অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ হয়েছে আমাদের দেশ। কুয়ালালামপুরের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা লোকজনকে সর্বোত্তম সেবা ও সুযোগ দেওয়া হয়। ফাস্ট ট্র্যাক অ্যাসিস্ট্যান্স, ইমিগ্রেশন, লাগেজ দ্রুততম সময়ে হাতে পেয়ে যান সেবাগ্রহীতা। বিমানবন্দরে রোগীদের যোগাযোগের সুবিধার্থে বিশ্বের নানা ভাষার অনুবাদক সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন।’

সেরেনা আজিল। ম্যাজেস্ট্রি হোটেল, মালয়েশিয়া, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
সেরেনা আজিল। ম্যাজেস্ট্রি হোটেল, মালয়েশিয়া, ৩১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

মালয়েশিয়ায় হেলথকেয়ার ট্রাভেল শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে—এ কথা জানিয়ে সেরেনা আজিল বলেন, গত বছর ১২ লাখ সেবাগ্রহীতা চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া এসেছেন। এর জন্য দেশটির কোষাগারে জমা হচ্ছে অর্থ। গত বছর সেবা দিয়ে শুধু হাসপাতালগুলো ১৫ লাখ রিংগিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) অর্জন করেছে। আর পুরো অর্থনীতিতে এর অবদান কয়েক শ কোটি রিংগিত। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির এ খাতের অর্থনীতিতে আয়ের লক্ষ্য ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন রিংগিত। গত বছর স্বাস্থ্য খাতে ১৫ হাজার চাকরি হয়েছে বলেও জানান সেরেনা আজিল।

মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অনুষ্ঠানে ‘এমওয়াইএইচটি ২০২০’-এর মাসকট ‘ড. এনগগেইন’ মঞ্চে এসে স্বাস্থ্যসেবার ডিজিটাল সংস্করণের উদ্বোধন করে। এ উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় এয়ারলাইনস বারহাদের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর হয়।

তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের ১০০ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করানো হয়।