বিএনপির দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের এখনো ধরা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এখনো ধরা হয়নি বলে তাঁরা হয়তো চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ বলছেন। চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারের শুভ কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের দলের অনেকেই নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সেই তালিকাও সরকারের কাছে আছে। প্রধানমন্ত্রী আগে আমাদের দল থেকেই শুরু করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন যে এটি কোনো দলমতের বিষয় নয়, এটি হচ্ছে যাঁরা প্রকৃতপক্ষে অনিয়ম ও অনাচারের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে অভিযান। প্রকৃতপক্ষে ক্যাসিনোসহ যাঁরা নানা ধরনের অনিয়ম, অনাচার ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সারা দেশে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। সেটি যাচাই-বাছাই করে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত, অন্য দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছেন এবং নানা অনিয়ম-অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের দলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের নেতৃত্বের আসনে বসানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।

এর আগে চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি পরিচালিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারের শুভ কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মমত্ববোধ সৃষ্টি করা। মানুষের প্রতি দয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা সব ধর্মেই আছে। বৌদ্ধ ধর্মে সব জীবের প্রতি দয়ার কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সবাই নিজ নিজ ধর্মের মূল মর্মবাণী অনুসরণ করি, অনুশীলন করি, তাহলে পৃথিবী অনেক শান্তিময় হতো।’

রাঙ্গুনিয়া কুলকুরমাই সদ্ধর্মোদয় বিহারের অধ্যক্ষ শাসনরত্ন ভদন্ত ধর্মসেন মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে কঠিন চীবর দানোৎসবে আশীর্বাদক ছিলেন বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. ধর্মসেন মহাস্থবির, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক বিভাজন করলে যাদের সুবিধা হয়, সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সাম্প্রতিক সময়ে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেগুলোকে কঠোর হাতে দমন করেছে।