স্কুলের পাশে সিলিন্ডারের গুদাম

বিদ্যালয়ের ১০ হাত দূরে গ্যাস সিলিন্ডার ডিপো স্থাপন করা হয়েছে।  প্রথম আলো
বিদ্যালয়ের ১০ হাত দূরে গ্যাস সিলিন্ডার ডিপো স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম আলো

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও গ্যাসের সিলিন্ডারের গুদামের দূরত্ব মাত্র ১০ হাত। পাঠদানের সময় শ্রেণিকক্ষে ২১০টি শিশু থাকে। পুরো সময় শিক্ষকেরাসহ তারা থাকে ঝুঁকিতে। অভিভাবকেরা থাকেন আতঙ্কে।

এই অবস্থা ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভূটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এই বিদ্যালয়ের পাশেই একটি গ্যাসের সিলিন্ডার রাখার গুদাম। এখানে অধিকাংশ সময় কয়েক হাজার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত থাকে। অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বিভাগীয় অফিস থেকে এটার অনুমোদন নেওয়া। তা ছাড়া এখানে গ্যাস ভরা হয় না, গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার রাখা হয়। এই কারণে ঝুঁকি খুবই কম।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভূটিয়ারগাতী গ্রামের মধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ভূটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। মাঠে কয়েকজন খেলা করছে। এরই মধ্যে ছুটির ঘণ্টা পড়ে যায়। বাচ্চারা বাড়ির উদ্দেশে ছুটতে থাকে। প্রায় সবাইকে বিদ্যালয়ের কাছে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারের গুদাম পেরিয়ে যেতে দেখা যায়। গুদামের প্রাচীরঘেঁষে যাওয়া ছোট রাস্তা ধরে তাদের বিদ্যালয় থেকে বের হতে হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুন বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়কে জানান। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এই ঝুঁকির মধ্যে থেকেই তাঁদের বাচ্চাদের পড়ালেখা করাতে হচ্ছে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সরকার জানান, এখানে গ্যাস ভরা হয় না। শুধু গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা হয়। পরে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এতে খুব বেশি ঝুঁকি নেই বলে জানান। ডিপোর ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান মুঠোফোনে বলেন, এখানে তাঁরা অল্পসংখ্যক সিলিন্ডার রাখেন। তা ছাড়া এগুলো সুন্দর করে প্যাকেট করা থাকে। এগুলো থেকে দুর্ঘটনা হওয়ার কোনো কারণ নেই।   

এ বিষয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু স্থানীয় লোকজন কেন এটার প্রতিবাদ করেন না তা তিনি জানেন না। তিনি বিষয়টি বিস্তারিত জানেন না, তবে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি।