নোয়াখালীতে নাইমুল আবরারের দাফন সম্পন্ন

নাইমুল আবরারের মা ও স্বজনদের আহাজারি। আজ গ্রামের বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। নোয়াখালী, ২ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
নাইমুল আবরারের মা ও স্বজনদের আহাজারি। আজ গ্রামের বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। নোয়াখালী, ২ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
নাইমুল আবরার। ছবি: সংগৃহীত
নাইমুল আবরার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় আবরারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার ভোরে অ্যাম্বুলেসে করে ঢাকা থেকে নাইমুলের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। নাইমুলের লাশ পৌঁছানোর পর স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রতিবেশীরা নাইমুলের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে আয়োজিত কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নাইমুল। তাকে তাৎক্ষণিক ইউনিভার্সাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানাজা শেষে নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ছেলের মৃত্যু নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহর হুকুম হয়েছে, তাই তিনি ছেলেকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিলে হয়তো ভালো হতো।’

নাইমুলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক। দুর্ঘটনার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিকে কিশোর আলো সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করবে।

নাইমুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান প্রবাসী, তবে বর্তমানে তিনি দেশে আছেন।