আবরার হত্যা মামলায় মাহমুদ রিমান্ড শেষে কারাগারে

আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি এস এম মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ শনিবার এ আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আসামি এস এম মাহমুদকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আদালতে হাজির করে। একই সঙ্গে ডিবি তাঁকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করে।

এস এম মাহমুদ বুয়েটের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবরার ফাহাদ হত্যায় গ্রেপ্তার মাহমুদকে গত ২৮ অক্টোবর চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
আসামি

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাহমুদ জড়িত আছেন বলে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে । অন্য যেসব আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে এই আসামির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডে ২০ জন ছাত্র গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। সেখানেই ভয়ংকর নির্যাতন করে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা।

আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, নির্যাতনের সময় আবরার ফাহাদ পানি পান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা তাঁকে সেই সুযোগ দেননি। ক্রিকেট স্টাম্প এবং মোটা রশি দিয়ে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা করেন।