চাকরি দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সৃষ্টিগড়ের হাজীবাগান এলাকার একটি জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আজ শনিবার এক তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।

আটক তরুণের নাম রাকিব মিয়া (২০)। তিনি ঘটনাস্থল সৃষ্টিগড় এলাকার বাসিন্দা। তিনজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর ভাষ্য, অভিযুক্ত অন্য দুজনের বাড়িও সৃষ্টিগড় এলাকায় হবে। ওই ছাত্রী নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রীর বাবা পেশায় ভ্যানচালক। সম্প্রতি ছাত্রীকে মুঠোফোনে আরিফ নামের একজন ফোন করে একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয় দেন। একপর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কলেজছাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, আরিফের কথামতো গতকাল বিকেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শিবপুরের বরইতলা এলাকায় ওই কারখানার সামনে অপেক্ষায় থাকেন তিনি। পরে সেখানে একটি মাইক্রোবাসে করে আরিফ, রাকিব ও গাড়ির চালক তাঁকে তুলে নেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানোর পর সন্ধ্যায় সৃষ্টিগড় এলাকার হাজীবাগানের জঙ্গল এলাকায় নিয়ে যান।

ছাত্রীর ভাষ্য, তাঁকে সেখানে সারা রাত ধর্ষণ করেন ওই তিনজন। পরে আজ সকাল ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর দুপুরের দিকে তিনি সেখান থেকে কৌশলে বেরিয়ে আসেন। তখন স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানালে তাঁরা রাকিবকে আটক করতে সক্ষম হন।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরিফ নামের একজন তাঁর মেয়েকে ডেকে পাঠান। সারা রাত মেয়ের ফোন বন্ধ পান তাঁরা। পরে আজ দুপুরে তাঁর মেয়েকে স্থানীয় লোকজন শিবপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে নিলে পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল বাশার বলেন, মেয়েটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকেরা আরও পরীক্ষা করবেন।

শিবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুমিনুল ইসলাম বলেন, আটক রাকিব পুলিশ হেফাজতে আছেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি।