ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে চান খুলনার মেয়র

তালুকদার আবদুল খালেক। ফাইল ছবি।
তালুকদার আবদুল খালেক। ফাইল ছবি।

খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত করে দলকে নতুনভাবে সুসংগঠিত করতে হবে। কোনো অনুপ্রবেশকারী, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুকে দলের কোনো স্তরে রাখা হবে না।

নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তালুকদার খালেক এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

তালুকদার খালেক বলেন, যারা বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে এনে দলকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনার মেয়র আরও বলেন, তৃণমূলের মানুষের কাছে যেতে হবে। তাদের সুখ-দুঃখের সাথি হতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দেশ ও জনগণের উন্নয়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এককভাবে কোনো সরকারের পক্ষে একটি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।

মেয়র বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত উন্নয়নমুখী। সে জন্যই খুলনা নগরের উন্নয়নে নগরের মানুষকে সঙ্গে নিতে হবে। নগরবাসীকেও আগ্রহী হয়ে সব উন্নয়নকাজ মনিটরিং করতে হবে। কারণ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তাদের টাকায়ই হচ্ছে।’

একটি সুন্দর খুলনা নগর বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর আহ্বান জানান তালুকদার খালেক।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী মিনহাজ উজ জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাংসদ ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মজিবর রহমান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বীরেন্দ্র নাথ ঘোষসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবের জন্য আহ্বান করলে মিনহাজ উজ জামান ও ফয়েজুল ইসলামের পক্ষে একটি প্যানেল জমা পড়ে। আর কোনো প্যানেল জমা না পড়ায় এই প্যানেলকে আগামী তিন বছরের জন্য ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কমিটির অন্য নেতারা হলেন সহসভাপতি যথাক্রমে আনিছুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, আহাদ আলী মোল্লা, রতন মিত্র, হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সাহা, ইকবাল কবির, রাজীব সাহা, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক ফকির আবু হোসেন, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, আবদুল্লাহ হারুন রুমি, তারিক মাহমুদ, জি এম রেজাউল ইসলাম, শেখ আবদুল জব্বার, শেখ শমসের আলী, আনোয়ার হোসেন। সম্মেলনে জানানো হয়, কমিটির অন্য পদের জন্য নাম পরে যুক্ত করা হবে।