জি কে শামীম দুদকের রিমান্ডে

কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে রিমান্ডে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ছবি: শুভ্র কান্তি দাস
কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে রিমান্ডে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ছবি: শুভ্র কান্তি দাস

কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)। আজ রোববার বেলা ২টায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে দুদকে নিয়ে আসা হয়। দুদক কার্যালয়ে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর জি কে শামীম বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা মামলা করে দুদক। মামলার পরপরই অন্য মামলায় কারাগারে থাকা শামীমকে নিজেদের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে তাঁদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে যান দুদক কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম নিজের পরিচয় দিতেন যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। আবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবেও পরিচয় দিতেন। চলতেন ছয়জন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বড় কাজের প্রায় সবই ছিল তাঁর প্রতিষ্ঠানের কবজায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন তাঁর কার্যালয় থেকে নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজপত্র, নয় হাজার মার্কিন ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং মদের বোতল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইন এবং মাদক আইনে মামলা করা হয়। এসব মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ও র‍্যাব।

২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২১ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাঁর সম্পদের খোঁজে রিমান্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড বর্তমানে এককভাবে গণপূর্তের ১৩টি প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। আবার যৌথভাবে আরও ৪২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত, যা সারা দেশে চলমান অধিদপ্তরের মোট প্রকল্পের ২৮ শতাংশ। সব কটি প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ৪ হাজার ৬৪২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ৩০১ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।